শক্তি

বাংলাদেশে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিতব্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শংকা

নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষ করতে বিলম্বের আশংকায় সম্ভাব্য বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কর্মকর্তারা
বাংলা
<p>রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পাওয়ার ইউনিটের জন্য একটি চুল্লির প্রেশার ভেসেল এবং বাষ্প জেনারেটর গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে (চিত্র: ভ্যালেরি মাটিসিন / এলামি)</p>

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পাওয়ার ইউনিটের জন্য একটি চুল্লির প্রেশার ভেসেল এবং বাষ্প জেনারেটর গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে (চিত্র: ভ্যালেরি মাটিসিন / এলামি)

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের ফলে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করতে বিলম্ব করতে পারে। ২,৪০০ মেগাওয়াটের উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন  এই কেন্দ্রটি যা পায়রা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ ক্ষমতা সম্পন্ন। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রটি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলে এ মুহুর্তে কোন বিলম্ব হলে তা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান তৈরি করবে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাই ইতিমধ্যে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন বলে জানতে পেরেছে দ্য থার্ড পোল।

১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশই অর্থায়ন করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি বাংলাদেশের পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলের পাবনা জেলায় গড়ে তোলা হচ্ছে। রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এই প্রকল্পটির নির্মান কাজ পরিচালনা করছে। মোট অর্থায়নের বাকি ১০ শতাংশ প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকার। সরকার দূষিত কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রূপপুর প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্য রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে এবং আন্তর্জাতিক অর্থপ্রদান ব্যবস্থা সুইফট-এ (SWIFT) তাদের প্রবেশাধিকার অকার্যকর করার ঘোষনা দেয়। যেহেতু আরো বেশ কয়েক ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাই  আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনাসহ রাশিয়া যে সংস্থাগুলির সাথে লেনদেন করে তা চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য অত্যন্ত জটিল আকার ধারন করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, শক্তি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপরে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে কয়লা এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর মতো বিকল্প ব্যবস্থা  নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানতে চাইলে দ্য থার্ড পোলকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, আমাদের অনুমান ২০৩০ সাল নাগাদ রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের ২৪০০ মেগাওয়াটসহ আমাদের বিস্ময়করভাবে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিকল্পনা মাফিক ২,৪০০ মেগাওয়াট নাও পেতে পারি। এটা ভেবেই আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০  মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হলে, সম্ভবত আমরা অন্যান্য কয়লা প্রকল্প এবং কিছু নবায়নযোগ্য উত্স থেকে বিদ্যুৎ পেতে কোনও সমস্যা হবে বলে তেমনটা মনে হচ্ছে না
নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী

“রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হলে, সম্ভবত আমরা অন্যান্য কয়লা প্রকল্প এবং কিছু নবায়নযোগ্য উত্স থেকে বিদ্যুৎ পেতে কোনও সমস্যা হবে বলে তেমনটা মনে হচ্ছে না।”

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল অনুষদের ডিন ইজাজ হোসেন দ্য থার্ড পোলকে বলেন, রাশিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রূপপুর প্রকল্পের সার্বিক নির্মান কাজ শেষ করে আনার উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে রাশিয়া একটি সামরিক শক্তি, তারা কোনো অর্থনৈতিক শক্তি নয়। যদি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এটি রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করে ফেলবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার পক্ষে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে এবং এই প্রকল্প স্বাভাবিকভাবেই বিলম্বিত হবে।

রূপপুর প্রকল্প সময়মতো সমাপ্তের নিশ্চয়তা

২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্ল্যান্টটি নির্মানের তদারক করে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ার সরকার বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করে বলে যে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা প্রকল্পটি সময়মতো শেষ করতে সক্ষম হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান দ্য থার্ড পোলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দ্য থার্ড পোলকে সচিব হাসান বলেন, “রুশ সরকার আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তারা যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। আমরা এটাই বিশ্বাস করতে চাই।”

তিনি বলেন, “রাশিয়া একটি বড় আন্তর্জাতিক শক্তি, এবং আমি মনে করি তারা এই প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অবশ্যই বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। ” বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসান বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্পোরেশন রোসাটম ইউরেনিয়াম এবং রূপপুর প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করবে। এই প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির কার্যক্রমের উপর সম্ভাব্য প্রভাবের কথা বিবেচনা করে  বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক জ্বালানী এবং চুল্লি সরবরাহকারীনের  এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

satellite photo of Rooppur nuclear power plant in Bangladesh
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদের মধ্যাঞ্চলের পশ্চিম দিকের জেলা পাবনায় নির্মিত হচ্ছে যার পাশ দিয়ে  বাংলাদেশ-ভারত মধ্যে অভিন্ন নদী গঙ্গা বয়ে গেছে, বাংলাদেশে এই নদীটি পদ্মা নামে পরিচিত (চিত্র © Maxar Technologies via Google Earth Pro)

সচিব হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের নির্মাণে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটেনি এবং এরই মধ্যে প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রোসাটম এবং প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জাম রপ্তানিকারক সংস্থা জেএসসি এটমসট্রয়এক্সপোর্ট-এর (রোসাটমের একটি সহায়খ সংস্থা)  বিবৃতি অনুসারে, গত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়া থেকে প্ল্যান্টের সরঞ্জামের চালান কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত হয়নি এবং প্ল্যান্টের নির্মান কাজের অগ্রগতি অব্যাহত ছিল।

তবে “ইউক্রেনে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি”, দ্য থার্ড পোলকে বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান।

বুয়েটের ডিন ইজাজ হোসেন বলেন, আসলে অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে যা প্রকল্পটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বৈরিতা বাড়তে থাকলে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করতে বাংলাদেশকে চাপ দিতে পারে।

রূপপুর, উন্নয়ন ও জ্বালানি সংকটের উত্তরণ

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ২,৪০০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যবাংলাদেশ ছয় বছরের একটি পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছে। ২০২৬ সালে জতীয় গ্রিডে ৫০২ মেগাওয়াট বিদ্যুত সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ: সময়টি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বছর, কারণ সে বছরই স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে  ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ২০১২ সালের তুলনায় ২০৩০ সাল নাগাদ তার কার্বন নির্গমনের মাত্রা ২২% কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার পরমাণু শক্তির জন্য পরিকল্পনা করেছে যা  ২০৩০ সালের পর মোট বিদ্যুত উৎপাদনের প্রায় ১০% হবে।

প্রায় ৬০ বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প

রূপপুর নিয়ে ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে প্রথম পরিকল্পনা শুরু হয় যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল -পাকিস্তান  দক্ষিণ এশিয়ার দুটি পারমাণবিক রাষ্ট্রের মধ্যে একটি। এক সমীক্ষায় প্রকল্পটি বাস্তবসম্মত বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল করে দেয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর, সরকার প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা শুরু করে। কিন্তু মাঝখানে এটি নানা কারনে বাঁধাগ্রস্থ্য হয়। ১৯৮০-এর দশকে, সরকার এটি বাস্তবায়নে আরো একবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এরপর আবার ২০০৭-০৮  সালে আবারো আলােচনায় আসে যখন দেশে একটি ভয়াবহ   বিদ্যুতের ঘাটতি শুরু হয়। সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার তখন চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু পরিকল্পনাটি আবারো বাতিল হয়ে যায়।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসে। এটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ নিয়ে আবারো কাজ শুরু করে, রাশিয়ার সহায়তায়। ২০১১ সালে দুটি দেশ প্ল্যান্ট নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য একটি চুক্তিতে সই করে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।

২০১৬ সালে দুই সরকার প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ১২.৬৫  বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করে। ২০১৭ সালে ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) চুক্তির অধীনে রোসাটম প্রকল্পের নির্মাণ কার্য শুরু  করে। চুক্তির অধীনে জেএসসি অ্যাটমষ্ট্রোয়এক্সপোর্ট, যা রাশিয়ার একটি  প্রকৌশল সংস্থা এবং রোসাটমের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা। এটি প্রকল্পের জন্য সমস্ত সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিগত কর্মী এবং অন্যান্য কর্মী সরবরাহ করে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসান বলেন, সুদের হার ১.৭৫ শতাংশসহ সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে মোট সুদের হার২ শতাংশের বেশি হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ঋণ শোধের জন্য ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। ২০২৭ সালে, এটি পরবর্তী ২০ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে শুরু করবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটি বাংলাদেশে স্থানীয় প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যারা প্ল্যান্টটি চালু হওয়ার ১০ বছর পর এর কার্যক্রমের দায়িত্ব নেবে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শংকা

গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা একটি দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। হাসান বলেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ সংস্থা ইতিমধ্যেই এর জন্য কয়েকটি জায়গার সুপারিশ করেছে। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী বলেন যে দ্বিতীয় প্রকল্পের বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে রুশ এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে ইচ্ছুক।

বুয়েটের হোসেন বলেন ইউক্রেইন্ আক্রমণের পরে বাংলাদেশ রুশের সাহায্য নিয়ে দ্বিতীয় প্রকল্প করতে পারবে না।