icon/64x64/culture সংস্কৃতি

হারানোর বেদনা, প্রাপ্তির প্রত্যাশা আর স্রোতস্বীনি নদী – বাংলাদেশের গান

বাংলাদেশের নদী পাড়ের মানুষের কষ্ট আর বাস্তুচ্যুতির গল্পের কথা গানের মাধ্যমে তুলে আনতে সেখানকার নদী অববাহিকাগুলোতে সরেজমিনে ভ্রমন করেছে দ্য থার্ড পোল

সঙ্গীত বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সবসময়ই বড় ধরনের  গুরুত্ব বহন করে। বঙ্গীয় বদ্বীপ এই অঞ্চলের শত শত নদীর গতিময় ছন্দ লোকসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুরণিত হয়। এই নদী সঙ্গীতের মাধ্যমে সবসময়ই যে নদী অথবা প্রকৃতির প্রতি এক ধরনের স্তুতি প্রকাশ করা হয়, তা নয়; এসব গানের মধ্য দিয়ে বঙ্গীয় এই অঞ্চলে নদীসৃষ্ট বন্যা, ভাঙ্গন আর অন্যান্য পরিবেশগত নানা দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট কষ্ট আর হাহাকারের বিষয়টিও প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়।

সম্পাদকীয় বার্তা

বন্যায় নদীপাড়ের মানুষের বাস্তুচ্যুত নিয়ে যেসব সঙ্গীত রচিত হয়েছে তা ধারন করতে আমাদের যে প্রকল্প দারই দ্বিতীয় অংশ এই প্রতিবেদনটি। আসামে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীপাড়ে থেকে সংগৃহীত গানগুলো শুনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যস্ত বিস্তৃত প্রায় ৭০০ নদীর বিধৌত এক জনপদ রচিত হয় যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বদ্বীপ। শত সহস্র এই নদীগুলো এই অঞ্চলের প্রকৃতি ও সঙ্গীতের অবয়ব রচনা করেছে। এই জনপদের উজান অথবা মধ্যাঞ্চলে, বিশেষ করে যমুনা বা পদ্মা নদী অববাহিকায় (গঙ্গা) প্রচলিত গানগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে প্রচলিত সঙ্গীতের রয়েছে চড়া সুর এবং দ্রুত লয়। অন্যদিকে পার্বত্য এলাকার গানের সুরের বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন। সেখানকার গানগুলোতে বিশেষ করে কর্ণফুলী ও সাঙ্গুর মতো ছোট অববাহিকার গানগুলো কিছুটা ঢিমে তালের মূর্ছনা। বদ্বীপ বাংলাদেশের নদীগুলো অত্যন্ত বিশাল এবং ক্রদ্ধ। অপরদিকে পাহাড়ী এলাকার নদীগুলো ছোট এবং শান্ত। আর ভিন্ন ধরনের নদী পাড়ের গানগুলোর মধ্যে এই পার্থক্য বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।

দ্য থার্ড পোলের পক্ষ থেকে দেশের বিভন্ন অঞ্চল ঘুরে স্থানীয় শিল্পীদের গাওয়া গান সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী পাড়ের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও  জীবিকার উপরে যে প্রভাব প্রতিফলিত হয় এসব গানের মধ্য দিয়ে মূলত সেই সংকটের চিত্রই ফটে উঠেছে।

আনন্দ আর বেদনার সুর

বন্ধু ধন ধন রে, এতই গোশা কি তোমার শরীরে/ দেখিতে দেখিতে গাবুর হনু/রবিবারের দিনে নাইওর গেনু…

স্থানীয় লোকসঙ্গীত শিল্পীদের গান ও গানের পিছনের কথা শুনতে দ্য থার্ড পোল জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গানের ভূমি খ্যাত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভ্রমন করে। উত্তরবঙ্গের জেলা ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে আমাদের দেখা হয় একটি চায়ের দোকানে সঙ্গীত শিল্পী  মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে । আমাদের সফরের কথা জানতে পেরে তিনি নিজেই আমাদের উত্তরবঙ্গের একটি জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান শোনানোর প্রস্তাব দিলেন। আমরা অবশ্য গানের কথাগুলোর সাথে পুরোপুরি পরিচিত ছিলাম না। তবে একটি বিষয় খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি, আর তা হচ্ছে গানটির মাধ্যমে দুই জন ব্যক্তির প্রেম ও ভালোবাসার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। গানটি গাইতে গিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, উত্তরবঙ্গে আমাদের সুখ-দু:খের কথা আমরা গানের মধ্য দিয়েই প্রকাশ করি।

এই গানটি মূলত ভাওয়াইয়া ঘরানার গান। ভাওয়াইয়া শব্দের উৎপত্তি ভাব, বাংলায় যার অর্থ আবেগ। মোস্তাফিজ বলেন, ভাওয়াইয়া গান মূলত দুই ধরনের। প্রথম ধরনের ভাওয়াইয়া গানে থাকে বিষাদের সুর – এর মধ্যে বিষাদ কিংবা আধ্যাত্মিকতা ফুটে ওঠে। আর অন্য ধরনের ভাওয়াইয়া গান হয় কিছুটা চটুল ও প্রাণবন্ত, ঠিক এখানে যে গানটি গাওয়া হয়েছে তার মতো।

বিচ্ছেদের গান

ও কি গাড়িয়াল ভাই, কতো রবো আমি পন্থেরও পানে চাইয়া রে

এটি বাংলাদেশের সবচেয় জনপ্রিয়া ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে একটি। ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের মূলে রয়েছে কর্মজীবি মানুষের কষ্টের কথা, এই ধরনের গানের মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদের বেদনা, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির আর্তনাদ এবং পারিবারিক জীবনের উত্থান-পতনের সুর ভেসে আসে।

এই গানটিতে একজন নারীর কষ্টের বিষয় ফুঁটে উঠেছে। গানের গল্পের নারী দিনের পর দিন তার স্বামীর বাড়ি ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। তার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে ব্রক্ষ্মপুত্রের উজানে অবস্থিত বিখ্যাত চিলমারী বন্দরে কাজের জন্য ঘর ছেড়েছেন। বিখ্যাত এই বন্দরটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।

ভাওয়াইয়া গান মূলত দুই তারের একটি বিশেষ যন্ত্র বাজিয়ে গাওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত, বিশেষ করে দেশের অন্যতম জেলা রংপুর এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর এবং আসামের ধুবরী, গোয়ালপাড়া এলাকায় এই সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

আমাদের সংগ্রহ করা এই গানটির শিল্পী এনামুল হক। তিনি বলেন, ব্রক্ষ্মপুত্র ও তিস্তা পাড়ে বসবাস করা আমাদের মতো হাজারো প্রান্তিক মানুষেরা নিত্যদিনই ঘরবাড়ি হারানোর বেদনা নিয়ে দিন যাপন করে – সুবিশাল এই নদী যখন বানে ভাসিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি গ্রাস করে থকন আমরা বেঁচে থাকার তাগিদে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হই, একবার নয়, বারবার আমাদের জীবনে এই ঘটনা ঘটতেই থাকে। তিনি আরো বলেন, শুধু বানে ভেসেই নয়, জীবিকার তাগিদে আমাদের জীবনে পরিবার পরিজন ছেড়ে বারবার এক স্থান ছেড়ে অন্য স্থানে পালিয়ে যেতে হয়, বাস্তুচ্যুতি আমাদের জীবনেরই এক অনুসঙ্গ।

চরের মানুষের না থামা যাত্রার গান

গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র আর মেঘনা – এই তিনটি প্রধান নদী মূলত বাংলাদেশের ভূমি গঠন করেছে। এই তিনটি নদীর বার্ষিক বন্যার মাত্রা প্রতি সেকেন্ডে ১৪০০০ কিউবিক মিটার থেকে ১০০,০০০ কিউবিক মিটার।  বিনুনি আর আঁকাবাঁকা বয়ে চলা এই নদীগুলো প্রতিবছর বন্যা সৃষ্টির মাধ্যমে হাজার হাজার গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং নিত্য ছোট ছোট ভূমির সৃষ্টি করে যা চর নামে পরিচিত।

দ্য থার্ড পোলের এবারের সফরে আমরা বাংলাদেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের সাথে দেখা হয় একটি বাউল দলের সাথে। দলটি আমাদের জন্য একটি ভাওয়াইয়া গান গেয়ে শোনায়। গানটির শিরোনাম হচ্ছে  – ও কি ওরে পাগলা নদী। এই গানে নদীকে (ব্রক্ষ্মপুত্র/তিস্তা) একটি উন্মত্ত নদী হিসেবে সম্বোধন করা হয়। গানটিতে ফুটে উঠেছে নদী কীভাবে বন্যার মাধ্যমে পাড়ের মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে অনেক সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করে।

ও কি রে, পাগলা রে নদী/ এইগলাই কি তোর রীতি রে বিধী/ বসত ভাঙ্গিয়া করলূ রে ছাড়াছাড়ি…

বাংলাদেশের নদীমাতৃক বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ হচ্ছে এখানকার ক্ষণস্থায়ী চরগুলো। নদীর ভিতরে জন্ম নেয়া এসব চরে যাতায়াত অত্যন্ত দূরহ এবং এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন একেবারেই নগন্য, নেই বললেই চলে। এই চরগুলো প্রতিনিয়তই বন্যা আর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে আশ্রয়ের জন্য এক চর থেকে অন্য চরে স্থানান্তুরিত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

রংপুরের কাউনিয়ায় বাস করা মুহাম্মদ রেজাউল দ্য থার্ড পোলকে জানান তার জীবনের কথা। তিনি বলেন তার ৪৮ বছরের জীবনে পরিবারের সাথে তাকে বহু বার ঘরবাড়ি হারিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যেতে হয়েছে।

ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীটি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ  পলিবাহী নদী ব্রক্ষ্মপুত্র বাংলাদেশে যমুনা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এই নদীর বন্যায় হাজার হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে যায়, বাস্তুহারা হয় শত শত পরিবার। স্যাটেলাইট ও জনসংখ্যা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণায় দেখা যায় ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে ৭২৮,০০০ মানুষ নদী ভাঙ্গনের কারনে বাস্তুচ্যুত হয়।

বিশালতার গান, হারিয়ে যাওয়ার ভয়

নদীমার্তৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গানগুলোর মধ্য দিয়ে সবসময়ই প্রকৃতির অদম্য শক্তি আর প্রকৃতিতত্ব ফুটে ওঠে। এই সব গানের কথা, সুর আর ছন্দের মধ্যে নদী আর মানুষের জীবনের গল্প ফুটে ওঠে যা আসলে সামগ্রীকভাবেই প্রশস্ত নদীগুলোর সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।

সর্বনাশা পদ্মা নদী গানটি মূলত বাংলাদেশের প্রত্যাত লোকসঙ্গগীত শিল্পী আব্দুল আলীমের কন্ঠে প্রথম গাওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রীক সঙ্গীতের একটি অন্যতম উদাহরণ যেখানে একজন মাঝি  নদীকে হিংস্র ও ধ্বংসাত্বক হিসেবে অভিহীত করে। পাড়ের আশায় তাড়াতাড়ি, সকাল বেলায় ধরলাম তরী রে, কথার মধ্য দিয়ে একজন নৌকার মাঝির না থামা যাত্রার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বলা হয় একজন মাঝি নদী পাড়ি দিতে ভোরবেলা তার যাত্রা শুরু করে, অথচ দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলেও মাঝির কাছে যেন তার গন্তব্য বহুদুর মনে হয়, যেন শেষ হতে চায় না।

উজান থেকে বন্যার পানি আর পলি বহন বাংলাদেশের নদীগুলো যতই বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি আসে আর ততই ধ্বংসাত্বক চেহারা ধারণ করে। প্রতিবছর পদ্মা নদীতে সৃষ্ট বন্যায় চরে হাজার হাজার গ্রাম ভেসে যায়, গৃহহীন হয় অগনিত মানুষ। নদীর মাঝে ঝড়ের কবলে পড়ে হারিয়ে যায় বহু মাঝি ও জেলে।  

আসমা বেগম তার জীবনে বহুবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার গল্প আমাদের শোনান।

ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী হেমাংগ বিশ্বাস। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন লোকসঙ্গীত বিশারদ। বিশেষ করে ভাটিয়ালি গান নিয়ে তার রয়েছে অসামান্য জ্ঞান। তিনি এক ইন্টারভিউতে বলেন, নিখাদ প্রকৃতি আর নদীর বিশালতা একজন নৌকার মাঝির মনে অস্তিত্বের প্রশ্ন জাগ্রত করে।

পাহাড়ে নদীর সুরসঙ্গতি

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস। দেশের বিশেষ এই অঞ্চলটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য এক সাংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। পাহাড়ি এই অঞ্চলে বহু ছোট বড় নদী আর স্রোতধারা ঝিরিঝির করে বয়ে চলে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগরাছড়ি আর বান্দরবানের শত আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সঙ্গীত যেন একটি জীবনেরই অংশ।

কর্ণফুলী দুলি দুলি গানটি এখানকার চাকমা সম্প্রদায়ের কাছে একটি প্রানের গানের মতোই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বেঁচে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বহু বছর যাবত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরিবেশগত হুমকির মধ্যে কাটিয়েছে। ৬০-এর দশকে এখানে দেশের প্রথম পানি বিদ্যুত প্রকল্প স্থাপন করা হলে কাপ্তাই হ্রদের সৃষ্টি হয়। আর এর প্রভাবে হাজার হাজর মানুষ গৃহহীন হয়, তলিয়ে যায় বহু আবাদী জমি।

রাঙ্গামাটির স্থানীয় শিল্পী প্রেরণা রোয়াজা গানটি সম্পর্কে বলেন, আমাদের এখানকার গান সবসময়ই সবুজ পাহাড়, নদী আর বৃষ্টি দ্বারা প্রভাবিত। আমাদের গানগুলো মূলত আমাদের জীবনের কথাগুলোই তুলে ধরে, এর মধ্য দিয়ে আমাদের অনুভূতি আর আবেগ প্রকাশিত হয়। এই গানটি লিখেছেন প্রয়াত সলীল রায়। গানটির মধ্য দিয়ে শিল্পী আঁকাবাঁকা পথে ঝিরঝির করে ছুটে চলা কর্ণফুলী নদীর সাথে ছুটে চলার আকুতি প্রকাশ করছেন। গানটির বিষন্ন সুরের মধ্য দিয়ে শিল্পী নদীর কাছে আকুতি জানাচ্ছে যাতে নদীর মতো সেও এই পৃথিবীটিকে আবিস্কার করতে পারে। কারণ শিল্পী মনে করেন এই সবুজে ঘেরা পাহাড়ে বাস করার ফলে তিনি বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পুর্ন বিচ্ছিন্ন, একাকী। 

অনুবাদ: মোর্শেদা আক্তার পরী

একটি মন্তব্য যোগ করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.