ন্যায়বিচার

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কোভিড-১৯ সৃষ্ট ভয়াবহ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশংকা

নিয়মিত জলের অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতূলতা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে গাদাগাদি করে থাকা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় রয়েছে দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বাঁশের বেড়া আর টিনশেডের সারি সারি অস্থায়ী ঘরে বাস করা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মনে অজানা এক আতংক - করোনা ভাইরাস!
বাংলা
<p>An overview of the dense living conditions in one of the Rohingya refugee camps in Cox&#8217;s Bazar district [image by: Omar Munna]</p>

An overview of the dense living conditions in one of the Rohingya refugee camps in Cox’s Bazar district [image by: Omar Munna]

কক্সবাজারের ৩৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব মিলিয়ে কম বেশি ১০ লাখ শরণার্থী বসবাস করছে যারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সংঘঠিত সহিংসতার সময় জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে এইসব ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

এই ক্যাম্পগুলোর একটি হচ্ছে বালুখালী। সেখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস দ্যথার্ডপোল.নেটকে বলেন, আমরা ছোট ছোট খুপড়ী ঘরে থাকি। দেখুন আমাদের ঘর-দোরের অবস্থা। করোনা ভাইরাসের কথা আমরা আগে কোনোদিনই শুনিনি … এইতো কয়েকদিন আগে এদেশের সেনা বাহিনীর একজন এসে বললেন আমাদের মাস্ক পড়তে হবে। আর সেই সাথে সবসময় হাত ধুতে হবে আর সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথাও বললেন – কিন্তু আপনারাই বলেন, এটা কী করে এখানে সম্ভব? এমন দু:সময়ে কেবল আল্লাহই পারে আমাদের বাঁচাতে। মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর হাত থেকে ঠিক যেমন করে আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছিলেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামারী। গত এপ্রিল ২, ২০২০ তারিখের তথ্য অনুযায়ি এরই মধ্যে ৫৪ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজারে স্থানীয় জনগনের মধ্যে একজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গভীর আশংকা প্রকাশ করছেন বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থায় কর্মরত ত্রাণকর্মীরা। তাদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যে কোনো মুহুর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পাওে ব্যাপকহারে। আর যদি কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশংকা করছেন তারা।

সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংস্থা রেফিউজি ইন্টারন্যাশনাল এর একটি প্রতিবেদনে এমন আশংকার কথা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে এই মুহুর্তে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পের খুব কাছাকাছি দুরত্বে বসবাস করছে আরো প্রায় চার লক্ষ স্থানীয় বাংলাদেশী অধিবাসী। অত্যন্ত সংকর্র্ণ বাসস্থান, জলের সংকট আর অপ্রতূল স্বাস্থ্যব্যবস্থার কারনে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগণ যে কোনো রোগের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সাম্প্রতিক এক ঝুঁকি নিরুপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়লে তা বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের ভয়াবহতাকে ছাপিয়ে যাবে। এর কারণ হিসেবে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গত: কারনেই রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা ও মৃত্যু ঝুঁকির মাত্রা অন্যান্য যে কোনো স্থানের চেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়।

লকডাউন

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কক্সবাজারে অবস্থিত ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা। গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশের শরণার্থীদের ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন কমিশন (রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশন- আরআরআরসি) কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সব ক’টি ক্যাম্পে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক কার্যক্রম যথাসম্ভব সংকোচনের নির্দেশ প্রদান করে। এই আদেশের আওতায় রয়েছে যে কোনো ধরনের জনসমাগম, ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও পরিবহন, যৌথ রেজিষ্ট্রেশনসহ সব ধরনের কার্যক্রম। শুধুমাত্র কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সচেতনতা ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা অব্যাহত রাখার জন্য সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে বসবাসরত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে স্ব স্ব ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথাসম্ভব কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলো ক্যাম্পে মাঝি বা রোহিঙ্গা কমিউনিটি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব, হাত ধোয়া এবং মাস্ক পড়ার ব্যাপারে সচেতন করার কাজটি করে যাচ্ছে।

মিজানুর রহমান নামে একটি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা বা ’মাঝি’দের দ্বারাই সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে সচেতন করার কাজ যেমন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা, হাত ধোয়া এবং মাস্কের ব্যবহার। মাঝি প্রথাটি মূলত চালু হয় ২০১৭ সালে এই দেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের পর থেকেই। বর্তমানে প্রতিটি ক্যাম্পে ব্লকের জনসংখ্যার হিসেবে প্রতিটি ব্লক বা ক্যাম্পে ৩০ থেকে ৪০ জন মাঝি দায়িত্ব পালন করে থাকে।

যদিও ক্যাম্পগুলোতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি তবে কেবল সচেতনতার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যে কোনো খারাপ পরিস্থিতি সামল দিতে এরই মধ্যে ১০ জনের একটি দল গঠন করেছি। পাশাপাশি আমরা রামু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকোরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট দুটি ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রেখেছি।

কিন্তু কক্সবাজারে এই মুহুর্তে বসবাসকরা ১০ লক্ষেরও অধিক মানুষের জন্য এই প্রস্তুতি নিতান্তই সামান।

তাছাড়া ক্যাম্পগুলোতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা একটি হাস্যকর বিষয় বলে অনেকেই মনে করেন। আর বিষয়টি অনেকের কাছে এখন একটি বিলাসীতার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। কারণ এখানকার জনঘনত্ব ও সংকীর্ণ বাসস্থানের কারনে সামাজিক দুরত্ব ও আইসোলেশন নিশ্চিত করা তাদের পক্ষে অত্যন্ত দূরহ। পরিস্থিতি এমন যে ক্যাম্পে বাসবাসকারী শরণার্থীদের নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো জলের পর্যাপ্ততা এখানে বলতে গেলে একপ্রকার অকল্পনীয়।

কুতুপালং ক্যাম্পে বসবাস করা ১৯ বছরের হাফসা বলেন, আমাদের ঘুন্টিঘরে আমরা সব মিলিয়ে ছয় জন একসাথে বাস করি। আমাদের ঘরের পাশেই স্কুল। সারাদিন আমি ঘরে বসে হয় রান্না করি অথবা পড়াশুনো করি। আমি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছুটা জানি আর তাই সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আমি মাস্ক ব্যবহার করি। আমি নিয়মিত হাতও ধুয়ে থাকি। অনেক মানুষই আমাদের কাছে আসে, তারা আমাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে যায়। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জলের অপ্রতূলতা।

প্রতিবন্ধকতা যেন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে

ক্যাম্পে সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে পরিস্থিতি তাদের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। “নিরাপত্তার কারনে” গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ নেই, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সংযোগ। এর ফলে তথ্য প্রাপ্তি তাদের জন্য এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বাস করা কোনো শরণার্থীদের জন্য তথ্য প্রাপ্তি বা বিনোদনের কোনো ব্যবস্থাই নেই যেমন রেডিও, টেলিভিশন। এই মাধ্যমগুলো উন্মুক্ত থাকলে তারা লকডাইনের মতো অবস্থায় এক ধরনের বিনোদনের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করতে পারতো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জনসচেতনতা তৈরিতে একটি ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু ইন্টারনেটের বিধিনিষেধের কারনে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কক্সবাজারের একজন স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, আসলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেভাবে ক্যাম্পে বসবাস করছে তাকে এক প্রকার অমানবিক বলেই আখ্যা দেয়া যায়। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তারা আসলে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্যই জানতে পারছে না. . . আসলে তাদের এই সমস্যার কথা তারা কাকে জানাবে?

এদিকে রেফিউজি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন নতুন করে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা বলেন, জাতিসংঘের নিজস্ব এক গোপনীয় সমীক্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপরে মারাত্বক আশংকার কথা বলা হয়েছে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশ সরকার মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম হ্রাস করার নির্দেশ দিয়েছে। সরকার এখন কেবল অত্যাবশ্যকীয় কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন সাইক্লোন নিয়ে কোনো প্রস্তুতিকরণ কার্যকম মারাত্বকভাবে ব্যাহত হবে।

নারী ও শিশুরা ঘরবন্দী

করোনাভাইরাসের এই সময়ে যেহেতু লকডাউন চলছে, তাই বাড়ির পুরুষরা ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। ফলে অধিকাংশ সময়ে তারা ঘরের ভিতরে অবস্থান করছে। আর এর ফলে ঘরের নারী ও শিশুরা নির্যাতনের হুমকির মধ্যে থাকছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সযযোগী অধ্যাপক জুবাইদা নাসরীন বলেন, এখন তো নারীদের তত্ববধানে পরিচালিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য নারী-বান্ধব কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই আমরা মনে করি এই সময়ে পারিবারিক সহিসংতা, যৌন নির্যাতন ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

আসলে পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও মারাত্বকভাবে উদ্বিগ্ন কারণ এসময়ে তাদের হাতে কোনো কাজ নেই। এই ধরনের হতাশা ও অনিশ্চয়তা সবার মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে। আর এর ফলে ক্যাম্পগুলোতে যৌন নির্যাতন কিংবা শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে বলে মনে করনে নাসরীন।

জানতে চাইলে পরিচয় গোপন করে একজন রোহিঙ্গা নারী বলেন, আসলে এই ভাইরাসটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তিনি এখন বলতে গেলে সারাদিনই গৃহে অবস্থান করেন। সে খুবই চিন্তিত সবকিছু নিয়ে। আমাদের তিনি বলেছেন এই ভাইরাসটি আসলে আমাদের ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়বে। সে আমাদের পরিবারের সবাইকে নিয়মিত প্রার্থণা (নামাজ) করতে আদেশ দিয়েছেন।

জাতীয় দুর্যোগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রস্তুতি অত্যন্ত নাজুক। ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য দেশটির পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই, রয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রীর (পিপিই) অভাব। খোদ রাজধানী ঢাকাতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য কেবল রয়েছে ৪৫টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা ও ৪৫টি ভেন্টিলেটর (যার সাহায্যে রোগীকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন প্রদান করা হয়)। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে আরো ১৬০টি ভেন্টিলেটর মজুদ রয়েছে।

এমনকি রাজধানী ঢাকাতেও চিকিৎসকরা অপর্যাপ্ত পিপিই নিয়ে অত্যন্ত সংকটের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে ঢাকা ভিতরে ও বাইরে কর্মরত চিকিৎসকদের নিজেদের পিপিই ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশে পিপিই’র সংকটের কথা বলা হচ্ছে।

উদ্বেগ রয়েছে যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত শরণার্থীরা নানা কারনে দূর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে। ফলে দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে এই ভাইরাস মোকাবেলা তাদের পক্ষে অত্যন্ত দূরহ হয়ে উঠতে পারে। তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জল ও যথোপযুক্ত বাসস্থানের সংকট। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এ মুহুর্তে বাংলাদেশ সরকারের উচিত উপযুক্ত আইসোলেশন সেন্টার নিশ্চিত করাসহ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও আনুষাঙ্গিক সুবিধাদী নিশ্চিত করা।

অনুবাদ: আরিক গিফার